তুষার আহাম্মেদ – মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালত-১ এর পাবলিক বাথরুম থেকে বিচার প্রার্থী এক নারীর গোপনে ভিডিও ধারণের অপচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালত-১ এ উক্ত ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালত-১ এর এজলাসে শুনানীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিচার প্রার্থী এক নারী। এর ফাঁকে হঠাৎ বাথরুমের চাপ দিলে ভিকটিম উক্ত আদালতের পাবলিক টয়লেটে প্রবেশ করে। সেই সময় অপর বাথরুমে মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালত-১ এর স্টেনোগ্রাফার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) প্রবেশ করে মোবাইল ফোনে গোপনে ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও করার বিষয়টি ভিকটিম মোবাইলে আলো এবং তার দিকে তাক ধরে রাখা দেখে বুঝতে পারে। সাথে সাথে চিৎকার করে ওঠে এবং সাজ্জাদ বাথরুম থেকে দৌড়ে এসে বাহিরের দরজা চাপিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ভিকটিম বিষয়টি বাহিরে এসে ঘটনার বর্ণনা দিলে এবং কান্নাকাটি করতে থাকলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালত-১ এর স্ট্রেনোগ্রাফার সাজ্জাদ নিজেকে আড়াল করার জন্য এলাকা ত্যাগ করে। পরে বিষয়টি বিভিন্ন মহলে জানাজানি হলে সাজ্জাদকে আবার অফিসে ফিরে আনা হয়। পরে ভিকটিম আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ এর নিকট মৌখিকভাবে বিচার প্রার্থনা করে। ম্যাজিস্ট্রেড ২টার দিকে অন্যান্য বিচারের কাজ শেষ করে এ ঘটনার সত্যতার জন্য বাথরুমে সরেজমিনে যান।
সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ বলেন, এখানে সাংবাদিকতা করার দরকার নেই। বিষয়টি আমি দেখছি।
এ বিষয় ১নং আমলী আদালতে এপিপি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আনোয়ার বলেন আমি বিষয় সম্পর্কে সব অবগত নই। তবে চীফ জুডিশিয়াল স্যার সমাধান করে দিয়েছেন উভয়ের সাথে। কেউ যদি অপরাধ করে তার বিষয় আমাদের কাছে কোন ছাড় নয়। এ ধরনের কাজ ঘৃণার সামিল বলেও জানান তিনি।